যষ্টিমধুর যত গুণ

http://www.editworkshop.ga/

যষ্টিমধু
বৈজ্ঞানিক নামঃ Glycyrrhiza glabra
পরিবারঃ Fabaceae
যষ্টিমধু বহুবর্ষজীবী গুন্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর কান্ড বহু শাখাবিশিষ্ট, তিন-চার ফুট লম্বা, সরল ও নরম হয়ে থাকে। এর পতা দন্ডের উভয় দিকে সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত এবং দন্ডের অগ্রভাগে একটি পাতা থাকে। এর পাতাগুলো ডিম্বাকৃতির, সবুজ ও মসৃণ। পুষ্পদন্ডের উভয় দিকে হালকা গোলাপি বর্ণের ফুল ফোটে। এর প্রতিটি ফলে দুই-পাঁচটি জীব থাকে। এর মূল বেশ মোটা, গোলাকার ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত। যষ্টিমধুর প্রধান কার্যকর রাসায়নিক উপাদানটি হলো ট্রাইতারপিনয়েড স্যাপোনিন গ্লিসাইরিজিন (গ্লিসাইরিজিনিক অ্যাসিডের পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম লবণের মিশ্রণ)। এছাড়াও এতে রয়েছে গ্লাবরানিন এ ও বি, গ্লিসাইরেটল, গ্ল্যাবরোলাইড, আইসোগ্ল্যারোলাইড নামে ট্রাইতারপিনয়েড স্যাপেনিন, ফরমোনোনেটিন, গ্ল্যাবরোন, নিওলিকুইরটিন, হিসপা-গ্ল্যারিডিন এ ও বি নামে আইসোফাবন, হারনিয়ারিন, আম্বিলিফেরন নাম কৌমারিন এবং আনোসেরিন, এমাইরিন, স্টিগমাস্টেরল নামক ট্রাইতারপিন স্টেরল ইত্যাদি।
ঔষদি গুণাবলির ব্যাখ্যাঃ যষ্টিমুধুতে আছে আলসার প্রতিরোধী ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান। এটি এসপিরিন জাতীয় ওষুধের প্রভাবে সৃষ্ট আলসারসহ সব ধরণের আলসার প্রতিরোধ ও নিরাময়ে কার্যকর। যষ্টিমধু গ্যাষ্ট্রিক মিউকোসা থেকে মিউকাস রসসহ আলসার প্রতিরোধী অন্যান্য রসের নিঃসরণ বাড়ানোর মাধ্যমে আলসার প্রতিহত করে। শ্বাসনালির প্রসারণ ও কফ নিঃসরণে যষ্টিমধুতে বিদ্যমান গ্লিসাইরিজিন শ্বাসলানি প্রসারিত করে এবং ভিতরে জমে থাকা কফ নরম করে বের করে দেয়। এটি ফুসফুসের ব্রংকিয়াল বেশির সংকোচন প্রতিহত করে। তাই এটি কণ্ঠস্বরের কর্কশভাব দূর করে এবং যেসব ভাইরাস শ্বাষতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি ও অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে জানা যায়, এটি সার্স রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ঠান্ডা লেগে গলা বসে গেলে বা কাশি হলে সেই সময় যষ্টি মধু একটু চিবিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। যষ্টি মদুর গুড়া লেবুর রসের সাথে পান করলে সর্দি আরাম হয়।
শুকনো আমলকির ২/৩ টুকরো আর ১ গ্রাম যষ্টিমধু থেঁতো করে আধা কাপ গরম পানিতে ৫/৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ২/৩ বার ছেঁকে নিয়ে তরলটুক দিয়ে চোখ ধুয়ে নিলে ঝাপসা দেখা রোগ কমে যায়। সাদা¯্রাব হলে এই গাছের শিকড় চিবিয়ে খেলে দূর্বলতা ভাল হয়। এটি হৃদরোগে বেশ কার্যকারী। গলা ব্যাথ্যা বা টনসিল হলে এর পাতা চিবিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।

Licorice
Scientific name: Glycyrrhiza glabra
Family: Fabaceae

Licorice Perennial Plant Its stems are many branches, three-four feet tall, simple and soft. Its stem is parallel to both the rays and has a leaf in the forearm. Its leaves are oval, green and smooth. Flowers of light pink color flowers on both sides of flowering. Each of these results in two or five organisms. Its roots are quite thick, round and sweet taste. The main effective chemical substance of astringent is Tratarpinoid saponin glacieris (a mixture of potassium and calcium salt of glyceric acid). It also contains globarine A and B, glysaratele, glaerolide, troparpineoid sapenin, ejogaroloid, pharmonantine, globoron, neoliquirin, isopa-gluridine A and B, as isophabon, harniarin, amphiliferan name caromarin and anoxerin, amirin, stigmastral tritrapin sterol etc.

Medicinal properties explained: Bacteriophage contains various anti-ulcer resistant and side-effects chemicals. It is effective in the prevention and treatment of all types of ulcerative ulcer, including ulcerative ulcer caused by aspirin. Rosemary resistes ulcer from the gastric mucosa by increasing the emulsion of other ulcer resistant mucous juices. Extends the respiratory tract and excretion of the cough, extends the glycyrezin inhalation in the drug addicts and sheds out the inhaled cuffs. It prevents the contraction of most bronchial lungs. So it eliminates the harshness of the voice and wars against those viruses that cause respiratory diseases and excessive mucus. A recent study reveals that it also plays an effective role in the prevention of SARS disease.

If you have a cold stomach or a cough, you can get good benefit by playing a little chest of rod honey. If the drink is mixed with lemon juice, the flux is relaxed.
Drying Amalakir 2/3 pieces and 1 gram of yogurt, then roasted half a cup of hot water for 5/6 hours, after scratched 2/3 times, and after drying the eyes, the blurred vision decreases. If the whitewash is rooted in the tree, then the weakness is good. This is very effective in heart disease. Throat pain or tumor is found in the chewing gum leaves good benefits.

http://www.editworkshop.ga/ যষ্টিমধু বৈজ্ঞানিক নামঃ Glycyrrhiza glabra পরিবারঃ Fabaceae যষ্টিমধু বহুবর্ষজীবী গুন্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর...

গিলা গাছ

editworkshop.blogspot.com

গিলা গাছের ফল ও ফুল। এই বিলুপ্ত প্রজাতির গাছের দেখা পেলাম ময়মনসিংহ বাকৃবির বোটানিক্যাল গার্ডেনে। নুহাশ পল্লীতে বিশাল ঝাকড়া একটা গাছ দেখেছি কিন্তু এই পর্যন্ত ফুল বা ফল আসেনি তাতে।
তবে মজার কথা হলো এই গার্ডেনে আগেও দুবার গিয়েছি এবং এই গাছের কোলে বসে ছবিও তুলেছি কিন্তু বুঝতেই পারিনি এটা গিলা গাছ। আজ ফুল দেখে পাগল হয়ে ছবি তুলছিলাম অনেক দূরের এক গেট থেকে তখন সেখানকার মালি কাছে আসলে তার কাছেই জানতে চাইলাম কি ফুল? সে বললো গিলা ফুল। আমি বললাম ফল কি আছে? সে অনেক দূরে গাছের গোড়ার কাছে নিয়ে গেল। তার উপরে অন্য একটা গাছের মাথায় এই লতা থেকে অনেক ফল ঝুলছে। এপ্রিলের শেষের দিকে এই ফল বৃষ্টি হলেই নিজে নিজে ফেটে গিলাবীজ নিচে পড়বে।
আসলে গিলা গাছ হলো কাষ্ঠল লতা।

The fruit and flowers of the silk tree. These extinct species were found in the Botanical Gardens of Mymensingh. Nuhash Polli saw a huge tree in a tree, but till now flowers or fruits have not come.

But interestingly, I went to this garden twice before and took a picture in the lap of this tree, but I did not realize that it was a gilla tree. Today, seeing the flower crazy, taking a picture from a distance of a distance from the gate of Mali, I asked him what flowers? He said, "Gulma flower." I said what is the fruit? He took away the tree near the beginning of the tree. On top of another tree, there is a lot of fruit hanging on this tree. In the end of April, when the fruit rains, Gilaki will fall down himself.
Actually the gilla tree is the wood cloth.

editworkshop.blogspot.com গিলা গাছের ফল ও ফুল। এই বিলুপ্ত প্রজাতির গাছের দেখা পেলাম ময়মনসিংহ বাকৃবির বোটানিক্যাল গার্ডেনে। নুহাশ পল্...

কলকে বা হলদে করবী বা পীতকরবী

editworkshop.blogspot.com
অন্যান্য নাম : কলকে, পীত করবীরক, সুগন্ধি কুসুম, কলকি, হলদি কলকি, কড়ি, চায়না করবী
ইংরেজি নাম : Yellow oleander, Mexican oleander, Lucky Nut Tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Thevetia peruviana
"ছলকে পড়ে কলকে ফুলের মধু যে আর রয় না
চাঁপার বনে গান ধরেছে ভিনদেশি কোন্ ময়না।"
কলকে ফুলের আদিবাস দক্ষিণ আমেরিকার পেরু ও বলিভিয়ার উষ্ণ অঞ্চল। ষোল শতকে হিসপানি পাদ্রীগণ গীর্জার আশেপাশে লাগানোর জন্য এই গাছ আমাদের দেশে নিয়ে এসেছিলেন। এখনও প্রাচীন গীর্জার আশেপাশে কলকে গাছ দেখা যায়। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ান জাতির মধ্যে প্রচলিত আছে, সকালে ঘুম থেকে উঠে কলকের ফুল-ফল দেখা শুভ লক্ষণ।

কলকে ফুল হলুদ, সাদা এবং কমলা- এই তিনটি রঙের হয়ে থাকে। ফুলে প্রচুর মধু থাকে, তাই সারাদিন গাছের আশেপাশে থাকে মৌমাছির আনাগোনা।

ফুল দেখতে হুঁকার কল্কের মতো, তাই সহজভাবেই বাংলায় এর এক নাম হয়েছে কল্কে। কেউ কেউ একে কল্কা ফুল বলে থাকেন যা হয়ত কল্কে নামেরই ঈষৎ রূপান্তর।
পারস্যে ব্যবহৃত ‘কল্কা’ নামটির আগমন ঘটেছে তুর্কী শব্দ কল্গা থেকে যার অর্থ পাতা। এই পাতাকে ‘মোটিফ’ হিসেবে বহুবার ব্যবহার করে তৈরি করা হয় শাড়ি, নকশিকাঁথা ও কাশ্মীরী শাল। প্রাচীনকালে এই বীজকে ছিদ্র করে মালা বানিয়ে গলায় ধারণ করতো পেরুর অধিবাসী।
এই গাছের বাকল, বীজ ও কষ বিষাক্ত। বিষক্রিয়ার ধরন হচ্ছে ফল মারাত্মক অবসাদক, পঙ্গুত্ব আরোপক ও ঘাতক।
গাছের আয়তন সীমিত, তাই বয়স্ক ব্যতিরেকে বৃক্ষ গণ্য নয়। কলকে পত্রবহুল, শাখা নমনীয় এবং শীর্ষ ছত্রাকৃতি। সারা বছর সবুজ পাতায় ঢাকা থাকে। কাণ্ড গোল, মসৃণ, হালকা ধুসর, নরম, অগুনতি শাখায় ছড়ানো ছিটানো। কলকে গাছ সাধারণত দশ পনেরো ফুট (৩ থেকে ৫ মিটারের মত) উঁচু হয়। কলকিগোত্রীয় অন্য গাছপালার মতো এদেরও সারাদেহ দুধকষপূর্ণ। পাতা, কান্ড, মূল, ফল, যেখানেই আঁচড় লাগুক, সেখান থেকেই আঠালো কষ বের হয়।
চিরহরিৎ এ গাছ অজস্র দীর্ঘরৈখিক পাতার ঘনবিন্যাসে এলায়িত, ছায়ানিবিড় ও সুশ্রী। কলকের পাতা চিকন ও সরু ছুরির মত শেষ প্রান্ত সুচালো, শাখায় সর্পিলভাবে ঘনবিন্যস্ত। বাংলায় চিরল বলে একটা কথা আছে। এই গাছের পাতাকে চিরল বলাই চলে। পাতা লম্বায় ১০ থেকে ১৫ সে. মি. পর্যন্ত, চওড়ায় ২ সে.মি.পর্যন্ত। রঙ ঘন সবুজ। বোঁটা ছোট।
কলকে ফুল হলুদ, সাদা এবং কমলা- এই তিনটি রঙের হয়ে থাকে। ফুলসংখ্যা সীমিত, পাতার সবুজে প্রস্টম্ফুটনের ঔজ্জ্বল্য প্রচ্ছন্ন থাকে। তবু ঘন-সবুজ পাতার পটভূমিতে হলুদ, সাদা কিংবা রক্তিম ফুলভরা কলকে অবশ্যই নান্দনিক। কলকে নামটি ফুলের কলকের মত আকৃতির জন্যই। কলকে ফুল লম্বায় ১০ সে. মি.। কলকে গাছের শাখার মাথায় ফুল ধরে। বৃতি গুলো একটার সাথে আর একটা লাগানো, সবুজ। লম্বায় ৩ সে.মি.। দল গুলো ৫ সে.মি. লম্বায়। প্রত্যেকটির সাথে প্রত্যেকটি যুক্ত। ফুলের পাপড়ি ৫ টি। পাপড়িগুলো প্যাঁচানো থাকে একটার সাথে একটা, নলাকৃতি, পরাগচক্র দলের গভীরে দৃশ্য। ফুল সুগন্ধি। ফুলের নিচের অংশ সরু, নলাকৃতি, প্রায় সবুজ এবং মৌগ্রন্থিধর। ফুলে প্রচুর মধু থাকে, তাই সারাদিন গাছের আশেপাশে থাকে মৌমাছির আনাগোনা। ফুল ফোটে প্রায় সারা বছর।
কলকে গাছে জোড়ায় জোড়ায় ফল ধরে। ফলের দুই প্রান্ত ঢালু তবে মধ্যখানে ফুলে ওঠা উঁচু থাকে, অর্থাৎ ডিম্বাকার। ফল শাঁসযুক্ত, কাঁচায় সবুজ বা ফ্যাকাসে হলদে, পাকলে ধূসর রঙের হয়ে থাকে। ফলের ভেতর বীজ থাকে। প্রতি ফলে ২ টি বীজ থাকে। বীজ পাকলে ফ্যাকাসে বাদামী হয়। ফল ও বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত। ফল খেলে শীতজনিত ঘর্ম, উন্মত্ততা, প্রলাপ ও অন্যান্য স্নায়ুবিক লক্ষণ প্রকাশ পায়, বমি হয়, নাড়ীর স্পন্দন ধীর হতে হতে দৃষ্টি শক্তি স্থির হয়ে শেষে সংজ্ঞাহীনতা আসে এবং মৃত্যু পর্যন্ত হয়। বীজ খেলে মস্তিস্কে, পাকযন্ত্রে ও শিরদাঁড়ায় পক্ষাঘাত হয়ে মৃত্যু হয়। বীজের শাঁস-তীব্র বিষাক্ত, অত্যাধিক তিক্ত, চিবুলে জিভে অসাড়তা আসে, জিভ গরম হয়ে যায়। পরিপক্ব ফল ও গাছের শাখা কলম থেকে গাছ হয়। পরিপক্ব ফল মাটিতে রোপণ করলে এক-দুই মাসের মধ্যে চারা গজায়।
কলকে গাছ ভেষজ গুণসম্পন্ন। পাতা, ছাল ও বীজে থাকে কর্ডিয়াক টনিক ও কর্ডিয়াক স্টিমুলেন্ট।গুণসম্পন্ন। গাছের সাদা কষে আছে হৃদক্রিয়া বৃদ্ধিকারক গ্লাইকোসাইডস। বীজে আছে ফাইটোস্টেরল, গ্লাইকোসাইডস এবং নানান রকমের উত্তেজক রাসায়নিক পদার্থ। গাছের ত্বকের রস কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কচি বীজ বেশ বিষাক্ত। গাছের ছাল অরিষ্ট কটু, তিক্ত, বিরেচক এবং বমনকারক। বিভিন্ন প্রকার সবিরাম জ্বরে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া অল্প মাত্রায় ব্যবহার করলে হৃদয়ের শক্তি বৃদ্ধি হয়, অধিক মাত্রায় এটি ঘাতক। গাছের ত্বকের রস কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। গাছের ছাল ও মূলের ছাল প্রায় সমগুন সম্পন্ন। নবজ্বরে ও বিষমজ্বরে হিতকর। মূলের ছাল দিয়ে তৈরী তেল চর্মরোগ নাশক। ছালের মত পাতাও বিরেচক ও বমনকারক। মানুষ ও পশুর ক্ষেত্রে বিষাক্ত। পাতার ক্কাথ দিয়ে তৈরী তেল চুলকানিতে লাগালে উপকার হয়। চারাগাছ তিক্ত, তীক্ষ্ণ, অতিশয় কটু, উষ্ণ, সংকোচক, মুত্রকৃচ্ছ্রতায় উপকারী, চর্মরোগ নিবারক, শ্বেতী, ক্ষত, অর্শ, চক্ষুপীড়া, চুলকানি, জ্বর, ফুসফুসাবরন প্রদাহ এবং বাত-প্রশমক। ফল ও বীজ গর্ভস্রাবকারক, শোথ ও বাত রোগে বিরেচনার্থ ব্যবহার্য। বীজের ক্কাথ বমনকারক, শ্বসন-ক্রিয়া ব্যাহতকারী, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া স্তদ্ধকারক, অর্শনাশক। বীজের তৈল বমনকারক ও বিরেচক। হৃদয়ের বলকারক। গাছের দুগ্ধ রস বমনকারক, সবিরাম জ্বরনাশক। ক্ষতেও পা ফাটায় ব্যবহার্য। ফুলে হৃদয়ের বলকারক পদার্থ আছে। এর দ্বারা প্রস্তুত তেল চুলকানি নষ্ট করে। ফুলের মধু উপাদেয় খাদ্য।

editworkshop.blogspot.com অন্যান্য নাম : কলকে, পীত করবীরক, সুগন্ধি কুসুম, কলকি, হলদি কলকি, কড়ি, চায়না করবী ইংরেজি নাম : Yellow olea...

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার গাছ বৈলাম

বৃক্ষকথা

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার গাছ কোনটি?
উত্তর একটাই বৈলাম। এর বৈজ্ঞানিক নাম Anisoptera scaphula. বৃক্ষটিকে উচ্চতায় অন্য কোনো গাছ ছাড়িয়ে না গেলেও বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে বৃক্ষটি। গবেষকরা বলছেন, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে বৃক্ষটি। যদিও বৈলাম বৃক্ষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও এরই মধ্যে হারিয়ে গেছে ৬৯ প্রজাতির গাছ। বৈলামের মতো বিপন্ন আরও ১২৮ প্রজাতির গাছ।
বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মাত্র ২৪টি বৈলাম বৃক্ষ রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের রুমা বাজার ও কক্সবাজার জেলার ডুলাহাজরা বোমারীঘোনা এলাকায় রয়েছে এই প্রজাতির বৃক্ষের শেষ অস্তিত্ব। এসব এলাকার বৈলাম বৃক্ষ সংরক্ষণ করা না গেলে ইতিহাস হয়ে যাবে বৃক্ষটি। এর সত্যতা স্বীকার করে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. রফিকুল হায়দার বলেন, 'দেশে আর মাত্র ২৪টি বৈলাম বৃক্ষ আছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাবে গাছটি।' আদিবাসীরা জুম চাষের প্রতি অধিক পরিমাণে ঝুঁকে পড়ায় এই গাছ নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে উচ্চতায় সর্বোচ্চ এই গাছ রক্ষায় বন অধিদপ্তরের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
বিলুপ্ত ৬৯ প্রজাতির গাছগুলো হলো :
একসময় বাঁশপাতা গাছ দিয়েই তৈরি হতো পেনসিল ও ফটোফ্রেম। বর্তমানে এই গাছ বিলুপ্ত হওয়ায় কাঠ আমদানি করা হয় পাকিস্তান থেকে। বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের দেওয়া তথ্যমতে, বাঁশপাতার মতো বিলুপ্ত হয়ে গেছে সুগন্ধী জাতীয় ধূপগাছ, লতাজাতীয় লতাবাঁশ, তমাল গাছ, ভাদি গাছ, গাব গাছ, ডাইস পাইরোস, হলদু (এডিনা কোর্ডিফোলিয়া) নাগেশ্বর, পুঁতিজাম, ডাকরুম, নারিকেলি, সিবিট গাছ, পেটের পীড়ার প্রতিষেধক শ্যামলতা ও গন্ধ ভাদালী, ঔষধি গাছ আপাং, ধনন্তরী ওষুধ অনন্তমূল ও অন্তমূল, কোয়াশিয়া সিনকোনা, (যা থেকে কুইনাইন তৈরি হয়) যষ্টিমধু, (কুচ) গজপিপলু, কালধুতুরা (মানসিক রোগের জন্য উপকারী), শালপানি, শতমূলী, নিটাম, ভূঁইকোমড়া, সর্পগন্ধা ও ব্রাহ্মিশাক।
এসব প্রজাতির গাছ বিলুপ্ত হওয়ার কারণ হিসেবে গবেষক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, 'বিলুপ্ত প্রজাতির একটি বড় অংশ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। নির্বিচারে নিধনের ফলে এসব উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পৃথিবীতে ছোটকে সবাই অবজ্ঞা করে। ফলে বন জঙ্গল, বাড়ির আঙিনায় বেড়ে ওঠা উদ্ভিদ পরিচ্ছন্ন অভিযানে নির্বিচার বিলুপ্ত হচ্ছে।
বিপন্ন ২০ প্রজাতির গাছ :৬৯ বিলুপ্ত প্রজাতির পথ ধরে বর্তমানে বিপন্ন আরও ২০ প্রজাতির গাছ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_ বৈলাম বৃক্ষ, কুকুরের কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত ঔষধি বৃক্ষ ডরিয়াম পুত্রংজীবা, বান্দরহোলা, ধলিগর্জন, বন আমড়া, চাপালিশ, ধারমারা, গিলাবাটন, জাওয়া বা বেরুলা, গোদা বৃক্ষ, কনক, মোচ, পারুল, বাজনা, বরুন, টিম্বার হিসেবে একসময়ের সর্বাধিক ব্যবহৃত পিতরাজ, শিলবাদী, টালি, উদাল ও বক্স বাদাম।
সূত্রঃ সমকাল

বৃক্ষকথা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার গাছ কোনটি? উত্তর একটাই বৈলাম। এর বৈজ্ঞানিক নাম Anisoptera scaphula. বৃক্ষটিকে উচ্চতায় অন্য কো...

মালি আম।

http://editworkshop.blogspot.com

http://editworkshop.blogspot.com

http://editworkshop.blogspot.com

যারা খুব বেশি টক পছন্দ করেন তাদের জন্য মালি আম বা মাইলাম উপযোগী। যারা অসময়ে আম খেতে চান তাদের জন্যও মালি আম। আবার যারা কুকুড়ের কামড় খেয়ে দিশেহারা তাদের জন্যও মালি আম উপযোগি। কেননা কুকুরের কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে এর ব্যবহার আছে। আমরা সচরাচর যে আমকে (Mangifera indica) চিনি এটি সেই আম নয়। পৃথিবীতে প্রায় ৬৯ প্রকার আম আছে (তবে এ হিসাব বিতর্কিত)। আমাদের দেশে আছে চার প্রকার। মালি আম, উড়ি আম, জংলি আম এবং আমাদের অতি পরিচিত যে আম। রমনা পার্কে মালি আমের ১০টি গাছ আছে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল মাসে আম পেঁকে যায়। সাধারণত আমের মুকুল খাড়া থাকে কিন্তু মালি আমের মুকুল নীচের দিকে ঝুলে থাকে। মালি আম গাছ বিশাল বড় হলেও এর পাতা, ফুল বা ফল সাধারণ আমের চেয়ে অনেক ছোট। একটি পূর্ণাঙ্গ আমের আকার ৪.০০X৩.২৫ সেন্টিমিটার। মালি আমের ইংরেজি নাম Burmese Plum, Marian Plum. পরিবার Anacardiaceae. বৈজ্ঞানিক নাম Bouea oppositifolia (Roxb.) Adelb. 
আজকে (২৬/০৩/২০১৮) রমনা পার্কে গিয়ে দেখি একটি গাছের আম পেঁকে গেছে এবং ছোট ছেলেরা আম পারছে।
আমটি পাঁকার পরও টক থাকে
কাঁচা বা পাকা দুই অবস্থায়ই খুব টক

http://editworkshop.blogspot.com http://editworkshop.blogspot.com http://editworkshop.blogspot.com যারা খুব বেশি টক পছন্দ ক...

অাড়ল বা অড়হর | Aural or arahar

ইংরেজি - pigeon pea, Yellow Legume.
বৈজ্ঞানিক নাম : Cajanus cajan (L.) Millsp
সংস্কৃত: আঢ়কী।
হিন্দি : অরহর, অড়হর, তুবরী, টুমুর।
মহারাষ্ট্র : তুরী।
গুজরাট: তুলদাল্য।
কর্ণাটক: কটলাকটু, তৌগরী,
তৈলঙ্গ : কাদুল।
আসাম রহয়মাঁহ।
ফারসি : শাখুল।
পাহাড়িরা বলেন -দুমরসুমি।
বাংলা সমার্থ : আড়ল, অড়হর, অড়র, অড়ল, তুড় ডাল, আঢ়কী, তুবরী, শনপুষ্পিকা। পাবনা আঞ্চলিক আরোল।
অড়হর একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ডাল উৎপাদক গাছ। এই গাছের আদি নিবাস মধ্য এশিয়া। মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকা ভারত, বাংলাদেশে এই ডালের জন্য এই গাছের আবাদ করা হয়। এর কাণ্ড পশমের ন্যায় নরম এবং ধূসর বর্ণের। পত্রিকা লম্বা এবং সংখ্যায় ৩টি থাকে। ফুলের বোঁটা ছোটো এবং এর রঙ হলুদ। জুন -জুলাই মাসে এর ফুল ফোটে। এর ফল শুঁটিধর্মী। এই শুঁটি ২-৩ ইঞ্চিল লম্বা হয়। প্রতিটি শুঁটিতে ৩-৪টি বীজ থাকে। বীজগুলো গোলাকার এবং শক্ত।
এই ফলই ডাল হিসাবে ভারত এবং বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয়।
অরহর ডাল- বাংলার এক হারিয়ে যাওয়া ফসল।মুলত মাড়ওয়ারি খাবার হলেও এদেশে একসময় বেশ চলত। শুনেছি বেগুন ভর্তা, অরহরের ডাল আর একটু ঘি অমৃত। মা রান্না করতেন ঘি ফোড়ন অরহরের ডাল।
মুখোরোচক চটপটি জাতীয় খাবারে এর ব্যবহার রয়েছে। এর বীজ সাপের বিষের জন্য উপকারী।
আয়ুর্বেদ মতে: অড়হর ডাল কষায়-মধুর,রস,শরীর শীতল করে,রুক্ষ, লঘু,মলরোধ করে,বায়ুজনক,মুখের কান্তি উজ্জল করে (বর্ণপ্রসাদক)। কফ,পিত্ত ও রক্তের দোষ নাশ করে।
এই ডাল হজম ও হয় তাড়াতাড়ি।
লাল অড়হর ডাল ওপাওয়া যায়।
এমনিতে দু-রকমের অর্থাৎ হলুদ ও লাল অড়হর ডাল পথ্য হিসেবে ভাল,কিছুটা কৃমি ও ত্রিদোষ(বাত কফ পিত্ত) নাশ করে। অর্শ ও বায়ুগোলক (বা পেটের টিউমার) রোগে ও উপকারী।
হাকিমি বা ইউনানি মতে অড়হর ডাল বিষ নাশক।
অড়হর ডাল কফ,রক্তের দোষ ও বিষক্রিয়া নষ্ট করে।
হাকিমি মতে অড়হরের পাতা: অড়হরের পাতার সঙ্গে নিম পাতা খেলে অর্শ রোগের উপশম হয়।
এই ভাবে অড়হরের পাতা খেলে খিদে বেড় যায়।
* অড়হর ডাল খেলে শ্রবণশক্তির দোষ সারে,পিপাসা মেটে-শরীরে সব রকমের জ্বালা সারে।
* আগেই বলা হয়েছে অড়হর ডাল রুক্ষ-দই বা দূধ দিয়ে রান্না করলে এই রুক্ষতা নষ্ট হয়।
* পাতা সেদ্ধ করে জল দিয়ে কুচকুচি করলে দাঁতের ব্যথার উপশম হয়।
* জনডিস রোগীর পক্ষে অড়হরের পাতা খাওয়া(পাতা বেটে নিয়ে তার রস) খুবই উপকারী।
* অড়হর পুষ্টির দিক থেকে ছোলার ডালের চেয়ে কম হলেওএই ডাল ত্রিদোষ নাশক(কফ,বায়ু ও পিত্ত নাশক)।
* অড়হরের পাতার রসে ঘি মিশিয়ে পান করলে রক্তপিত্ত সারে-নাক।
* অড়হরের পাতা আগুনে পুড়িয়ে সেই ছাই-এ টক দই মিশিয়ে লাগালে চুলকানি সারে।
* অড়হরের পাতা ও দুর্বাঘাসের রস একসঙ্গে মিশিয়ে নস্য নিলে আধকপালে মাথাব্যথা সেরে যায়।
*কাশি হলে এই পাতার ৭/৮ চামচ রস একটু গরম করে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়।
ডাইবেটিকস হলে অড়হর পাতার রস করে সকালে বিকেলে এক কাপ করে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। তবে এর মূলের রস আট দশ গ্রাম থেঁতো করে অল্প পানিতে সিদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
উচ্চরক্তচাপ হলে ৪/৫ টি অড়হরের পাতা নিয়ে রস করে সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অড়হর ডাল অবাঙালি মহলেই বেশি প্রচলিত। চাপ চাপ অড়হর ডাল রান্না করে তাতে হিং ও আস্ত জিরে ফোড়ন দেওয়া হয়। ওপর থেকে দেশী ঘি করে ঢেলে রুটি দিয়ে খাওয়া হয়।
দক্ষিন ভারতে অড়হর ডাল দিয়েই সম্বর বা টক ডাল তৈরি করা হয় এবং পরিবেশন করা হয় ধোসা, ইডলি বা উঋাপমের সঙ্গে। গুজরাতে অড়হর ডালের পুর দিয়ে তৈরি করা হয় পুরন পোলি বা পুর ভরা মিষ্টি কচুরি।
কচি অড়হর শিম ভর্তা,
রান্না, সিদ্ধ করে খাওয়া যায়। পাকলে ডাল রান্না হয়। আাবার পাকলে গাছ থেকে ছিড়ে আগুনে পুড়িয়ে খেতে টেস্ট। আমরা বলি উলা করা।
দুই রকম অড়হর দেখেছি। একটা সবুজ আরেকটা খয়েরী।
অরহর ডাল, ডাল রান্নায় যেমন সুস্বাদু, পুষ্টিকর।
***ডোসা***
উপকরণ:
ছোলার ডাল: ১/৩ কাপ
অরহর ডাল: ১/৩ কাপ
সিমের বিচি: ১/৩ কাপ
সিদ্ধ চাল (চধৎনড়রষবফ ৎরপব): ২ কাপ
তেল: বড় চামচ দিয়ে ১ চামচ তেল
হিং: এক চিমটি
জিরা: ছোট দিয়ে অর্ধ চামচ
রাই: ছোট দিয়ে অর্ধ চামচ
শুকনো লাল মরিচ: ২ টি
কড়ি পাতা: ৫ টি (ভারতে প্রচুর ব্যবহৃত হয়, আমাদের
দেশে দেখিনি, না থাকলে দরকার নেই।)
নারিকেল পেষা: বড় চামচ দিয়ে ২ চামচ
হলুদ গুঁড়া: ছোট চামচ দিয়ে অর্ধ চামচ
লবণ: পরিমাণমত
প্রণালী:
প্রথমে তিন প্রকার ডাল ও সিদ্ধ চাউলে পানি
ঢেলে পিষে নিতে হবে।
একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে জিরা, হিং,
রাই, লাল মরিচ এবং কড়ি পাতা দিয়ে হালকা গরম করার
পর অল্প নারিকেলের পানি ঢেলে পিষে নিতে
হবে।
এই পেষা উপকরণগুলো পূর্বের পেষা চালের,
ডালের সাথে উত্তমরূপে মেশাতে হবে।
একটি তাওয়ায় সামান্য তেল দিয়ে সুতী কাপড়
দিয়ে মুছে নিতে হবে।
একটি বড় চামচ দিয়ে এগুলো তাওয়ার উপর দিতে
হবে। চাইলে চারপাশে কিছুটা তেল দিতে পারেন।
এবার একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সুন্দর
রং হওয়া হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
তৈরিকৃত ডোসা গরম গরম পরিবেশন করুন।
শীতের দিন খিচুড়ি দারুন লাগে। খিচুড়ি আমরা কম বেশি সবাই রান্না করতে পারি। ডাল, চাল এবং সবজি মিশিয়ে রান্না করে নিতে পারেন, একটু ভিন্ন স্বাদের মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ি।
পাঁচমিশালী খিচুড়ির প্রণালী
উপকরণ:
১.৫ কাপ বাসমতী চাল
১ টেবিল চামচ মসুর ডাল
১ টেবিল চামচ ছোলার ডাল
১ টেবিল চামচ মুগ ডাল
১ টেবিল চামচ অড়হর ডাল
২ টেবিল চামচ ঘি
১ চা চামচ জিরা
১ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ পেঁয়াজ কিউব করে কাটা
১/২ কাপ বাঁধাকপি কিউব করে কাটা
৩/৪ কাপ ফুলকপি
১/২ কাপ আলু কিউব করে কাটা
১/২ কাপ মটরশুঁটি
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ চামচ ধনিয়া জিরা গুঁড়ো
১/২ কাপ টমেটো কুচি
লবণ স্বাদমত
প্রণালী:
১। চাল এবং ডাল ১৫ মিনিট একটি পাত্রে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
২। এবার প্রেশার কুকারে ঘি এবং জিরা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৩। এরপর এতে আদা রসুন দিয়ে মাঝারি আঁচে ১ মিনিট ভাজুন।
৪। আদা রসুন নরম হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আবার ১ মিনিট নাড়ুন।
৫। এতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, আলু এবং মটরশুঁটি দিয়ে মাঝারি আঁচে ২ মিনিট রান্না করুন।
৬। লাল মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো, টমেটো কুচি, চাল, ডাল, লবণ এবং ৩ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। প্রেশার কুকারে ২ বার হুইসেলের জন্য অপেক্ষা করুন।
৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল পাঁচমিশালী খিচুড়ি। ৬ জন মানুষের পরিবেশনযোগ্য।
English 
English - pigeon pea, Yellow Legume.
Scientific name: Cajanus cajan (L.) Millsp
Sanskrit: Aadhiki
Hindi: Aurora, Aarhaar, Tubari, Tumur
Maharashtra: Turi
Gujarat: Tulalya
Karnataka: Katalakutu, Tougary,
Oily: The fog
Assam Rahamamah
Persian: Shakhul
The Pahari said - Dumasumi.
Bangla Samit: Aadla, arahar, Rakh, Araval, Tud Dal, Aadkiki, Tubari, Shalpuppika. Pabna regional lake.

An arable bush national plant. Pulse producer tree The origin of this plant is Central Asia. This plant is cultivated for this pulse in India, India, Central and Eastern Africa. The trunk of fur is soft and gray in color. Magazine is tall and has 3 numbers. Flowers are small and its color is yellow. June - Flowers are flowering in the month of July. The fruit is herbivorous. This pod is 2-3 inches tall. Each pod has 3-4 seeds. The seeds are round and solid.

This fruit is used in India and Bangladesh as pulse.
Aarhar Dal - a lost crop of Bengal. Although there is a lot of food in the country, there are quite a few times in this country. I have heard that brinjal bharta, arahar dal and a little ghee amrit. The mother used to cook ghee bark arahar dal.

It has been used in national food. Its seeds are beneficial for snake venom.

According to Ayurveda: Aarhar pulse is sweet-sweet, juices, cooling the body, rough, light, smoothing, airy, brightening the hair on the forehead (color penetrating). Destroy cough, bile and blood guilt.
These pulses are digested and are quick.
Red gram flour is opened.
In this way, two types of yellow and red arahar pulse are good as well, some worms and trichodas (arthritis cough bile). Tumors and aerosols (or stomach tumors) are beneficial and beneficial.
According to Hakimi or Unani, arahar pulse poisonous.

Cranberry pulses, spoil the blood, and blood poisoning.
According to Hakimi, the leaves of the arahar are found to be beneficial for rheumatic diseases when playing neem leaves with arahar leaves.
In this way, eating ahoraar leaves fades in fencing.

* Playing an arachhar pulse helps in the treatment of hearing impairment, thirst, and all kinds of irritation in the body.
* It has already been said that this roughness is wasted when cooking with arahar dal rust-curd or a bowl.
* If the leaves are boiled with water, they may relieve the pain of the toothache.
* Janidis patient is eating araharan leaf (its juice juice) is very beneficial.
* In addition to the nutritious nutrients, it is less than the peeled pulses, but this pulse is the triangular destroyer (cough, air and pistol destroyer).
* When mixed with ghee mixed in the juice of arahar, the blood-type Surrey-nose.
* Aarhar leaves burnt in the fire and after mixing it in the ash, the itch fertilizer will start.
* When mixed with cranial juice and crusted juice mixed together, the headache can be eradicated.

* Cough reduces cough after playing a mixture of one tablespoon honey mixed with 7/8 teaspoon juice of this leaf.

If you have diabetes, you can get good benefits by playing a cup of flour in the morning and in the morning. However, the root juice of eight grams can be enjoyed by eating it in a small amount of water.
If you have high blood pressure, add 4/5 arahar leaves and mix it with a spoonful of pepper and keep the high pressure under control.

Arahar Dal is more common in the non-Bengali Mahalai. The arc pressure is used to cook arahar pulse and it is used to boil the hing and ghee. It is eaten with roasted ghee on the ground.

Salt or sugarcane beans are made with arable pulse in south India and are served with Dhosa, Idli or Urpam. In Gujarat, arahar pulse is made of puran poli or pudding sweet potato.

Raw arahar bean bharta,
Cooked, cooked and eaten. Powdered peas are cooked. Torture from the pale tree and burnt to the test. We say to yaw.
I saw two different types of ankhar. A green cat is another.

Asparagus pulses, pulses, as well as delicious, nutritious.

*** Dosa ***
Materials:
Chopping pulses: 1/3 cups
Arhar Dal: 1/3 cups
Bean seed: 1/3 cup
Cooked rice (2 liters of water)
Oil: 1 spoon oil with a big spoon
Hing: One pinch
Cumin: half spoon with small
Rai: half a spoon with a small
Dry red pepper: 2
Curry leaves: 5 (lots of used in India, ours
Not seen in the country, if you do not need it.)
Coconut pulse: 2 spoons with a large spoon
Yellow powder: half spoon with a small spoon
Salt: quantity
Method:
First of all, three varieties of pulses and boiled water in the rice
Pile should be poured.
Heat the oil in a pan and the cumin, Hing,
Rye, red pepper and light green with curry leaves
After pouring a little coconut water powders
Will be
These raw materials are used in the past,
Mix well with pulse.
A cotton cloth with a little oil in it
You have to delete it.
Put them on taua with a big spoon
Will be You can give some oil around if you want.
Now cover with a lid. Beautiful
Wait until the color is in it.
Serve hot dosa hot.

Khinkuri takes great on winter days. Khikuri We can cook more than everyone. Cooking with pulse, rice and vegetables can be cooked, the funniest unsorted puddle of a little different taste.
Unsorted pudding

Materials:
1.5 cups basmati rice
1 tablespoon lentil pulses
1 tablespoon gram flour
1 tablespoon mug pulse
1 table spoon arahar pulse
2 tablespoons of ghee
1 teaspoon cumin seeds
1 teaspoon ginger gourd
Cut 1/4 cup onion cubes
Cut 1/2 cup cabbage into cubes
3/4 cup cauliflower
Cut into a cup of 1/2 cup potato cubes
1/3 cup peas
1 teaspoon red pepper powder
1/4 teaspoon turmeric powder
2 tablespoons coriander cumin powder
1/3 cup tomato chopped
Salt to taste

Method:
1. Soak rice and pulse for 15 minutes with a bowl of water.
2. Now stir in a pressure cooker with ghee and cumin.
3. Then add ginger garlic and fry medium and fry for 1 minute.
4. When the ginger garlic becomes soft, then add the onion and stir again for 1 minute.
5. Cook cabbage, cauliflower, potato and peas and cook it for 2 minutes.
6. Red pepper powder, yellow powder, coriander-cumin powder, tomato kochi,

ইংরেজি - pigeon pea, Yellow Legume. বৈজ্ঞানিক নাম : Cajanus cajan (L.) Millsp সংস্কৃত: আঢ়কী। হিন্দি : অরহর, অড়হর, তুবরী, টুমুর। মহ...

বরুণ ফুল

dpeditworkshop.blogspot.com, 

জলাভূমি কিংবা ডোবা-নালার পাশে অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় বেড়ে ওঠা বরুণ গাছ তার নয়নাভিরাম ফুলের মাধ্যমে প্রতি বছর অস্তিত্বের জানান দেয়। গাছটি সারা বছর সবার দৃষ্টির অগোচরে থাকলেও গ্রীষ্মের শুরুতে যখন এর ডালপালা ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় তখন কারোরই দৃষ্টি এড়ায় না। সাদা পাপড়ির মাঝে লালচে রঙের কেশরযুক্ত থোকা থোকা বরুণ ফুল বেশ দৃষ্টিনন্দন। মূলত বসন্তের শেষ দিকে ফুল ফুটতে দেখা যায়। বৈশাখ পর্যন্ত গাছে গাছে ফুলের সমারোহ থাকে। বরুণ ফুলের নজরকাড়া সৌন্দর্য প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলে বর্ণিল সাজে। এ ফুলের হালকা মিষ্টি গন্ধ মুগ্ধ করে সবাইকে। বরুণ ফুলে প্রচুর পরিমাণে মধু থাকায় মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ফুলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। যান্ত্রিক শহরে যেখানে বরুণ গাছের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন সেখানে গ্রামাঞ্চলে বরুণ গাছের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। বহুবর্ষজীবী এ উদ্ভিদটি গ্রামে প্রধানত জ্বালানি কাঠ হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হয়। বরুণ গাছে গোলাকৃতির ফল হয়ে থাকে যা দেখতে অনেকটা ছোট কদবেলের মতো। তবে এ ফল খাওয়ার উপযোগী নয়। গাছ সাধারণত বীজ থেকে বংশবিস্তার করে, তবে এর কাণ্ড কিংবা ডাল কেটে অন্য জায়গায় লাগালেও গাছ জম্নে। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বরুণ ফুল সবজি হিসেবে ভাজি করে খাওয়ার রেওয়াজ আছে।

বসতভিটার ঢালু জায়গায়, বাড়ির আনাচে-কানাচে বরুণ ফুল গাছ জম্নাতে দেখা যায়। আমাদের দেশে বরুণ গাছ সাধারণত বইন্যা গাছ নামেই বেশি পরিচিত। তবে অঞ্চলভেদে এ গাছকে বালাই লামক, অবিয়ুচ, বর্ণা ও বিদাসি নামেও ডাকা হয়। বরুণ একটি বনজ গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Crataeva religiose. জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার স্থানীয় গাছ। এশিয়াকেই এর আদি নিবাস হিসেবে ধরা হয়। গাছের পাতা বেশ ঘন, সরল ও হালকা সবুজ বর্ণের। কাণ্ড ও ডালপালায় সাদাটে ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বরুণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛⇛

Varuna trees, growing in a lot of neglect and neglect, near the wetlands or canoe-nalah, tell their existence every year through its beautiful flower. Although the tree is unseen all year round, even when its stems swollen in the beginning of summer, no one cares. In the white petals, reddish-brown bracelets are very beautiful. Basically, flowers are seen in late spring. There are flowers in the trees on the tree till Baishakh. The beautiful beauty of the Varun flower decorates the nature and decorates the color. Everyone is impressed by the sweet smell of flowers. Because of the abundance of honey in the Varuna Phule, the bees are attracted to flowers in honey. In the mechanical cities where the existence of the Varuna tree is difficult to find, the excess of the Varuna tree is observed in the rural areas. The perennial plant is mainly used as a fuel wood in the village. Varuna tree is a circular fruit which looks like a small cobbler. But this fruit is not suitable for eating. The tree usually transmits from the seed, but its trunk or pulse is cut in the other place, even if the tree is planted. In some parts of the country, Varuna flowers are used as vegetables for eating and cooking.


In the sloping of the habitat, Varuna flowers are seen in the floral gardens of the house. In our country, the Varuna tree is commonly known as Batanya tree. However, this tree was also called Pale Lamak, Abhiyuch, Baraa and Vidasi. Varuna is a forested tree. Its scientific name is Crataeva religiose. Local trees of Japan, Australia and Southeast Asia Asia is considered as its original home. The leaves are quite dense, plain and light green. Stains and stems in white strips are visible. Varuna has an important role in preserving the natural balance.

dpeditworkshop.blogspot.com,  জলাভূমি কিংবা ডোবা-নালার পাশে অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় বেড়ে ওঠা বরুণ গাছ তার নয়নাভিরাম ফুলের মাধ্যমে প্রতি...